বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা বাংলার দাপুটে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কয়েকদিন ধরেই তিনি জ্বর, সর্দি–কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে তখনই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু সোমবার তাঁর অবস্থা ক্রমশ জটিল হতে থাকায় শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকার কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তখনই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখনও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই সময় তাঁর স্ত্রীরও করোনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ আসে।
বরং সেই সময় তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সেই চিকিৎসাই চলছিল। এর পর মঙ্গলবার রাতের ফের তাঁর সোয়াব টেস্ট হয়। বুধবার সকালে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই বিষয়টিই চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে। করোনা সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও প্রথম দু’বার তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট কেন নেগেটিভ এসেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। এদিন তাঁর করোনা সংক্রমণের খবর জানিয়ে দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানান, করোনা ধরা পড়ার পরই অশোকবাবুকে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অশোকবাবুর করোনা সংক্রমণের খবর গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। উদ্বেগ দেখা দেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেও। নিয়মিত অশোকবাবুর শরীরের অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সিপিএমের প্রধান কার্যালয় থেকে। সিপিএম সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির বর্তমান পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁর শরীরের দিকে নিয়মিত লক্ষ্য রাখছেন। শুধু তাই নয়, বাইরের কাউকে তাঁর কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর ফলে রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০৬ জন। তবে এই মৃত্যুর মধ্যে শুধুমাত্র কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত রয়েছেন ১৪৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯১ জন। ফলে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩০০ জন। এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫০৫ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা–মুক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৩৩ জন।